রাজধানীর ছয় স্থানে বসছে সাশ্রয়ী মূল্যের ‘জনতার বাজার’

‘জনতার বাজার’

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ঢাকার মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কেনাকাটায় কিছুটা স্বস্তি দিতে ‘জনতার বাজার’ চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর ছয়টি স্থানে এই বাজার চালু করা হবে। সবাই এই বাজারে সাশ্রয়ী দামে সব খাদ্যপণ্য কিনতে পারবে।

 

গতকাল শনিবার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার জাকের ডেইরি ফার্মসংলগ্ন সরকারি মাঠে বাজার চালু করা নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এই বাজার চালু ও নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ঢাকার ছয়টি স্থানে বসবে ‘জনতার বাজার’। সেগুলো হলো : মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সরকারি মাঠ, কামরাঙ্গীর চরের কুড়ারঘাট মেডিক্যাল মোড়সংলগ্ন স্থান, গুলশান, মিরপুরের গোলারটেক মাঠ, বাড্ডার সাঁতারকুল বড় বেরাইদ বাজার এবং ডেমরার সারুলিয়া বাজারসংলগ্ন সরকারি জমি।

 

ঢাকার জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাজারে একটি জায়গা বরাদ্দ থাকবে, যেখানে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে পারবেন। তবে কোনো ব্যবসায়ীকে সেখানে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আমাদের লক্ষ্য মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব এড়িয়ে কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা। এতে পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রাথমিকভাবে ছয়টি স্থানে এই বাজার বসলেও পর্যায়ক্রমে এর পরিসর বাড়ানো হবে।’

 

এই বাজার পরিচালনার জন্য সরকারিভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হবে স্থানীয় উদ্যোক্তা, ছাত্র-জনতাকে। পণ্যের হিসাব সংরক্ষণের জন্য সফটওয়্যার থাকবে, যেখানে পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য ক্রেতারা সরাসরি দেখতে পাবে। এ ছাড়া কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রেতাদের টোকেন দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে কে কত কেজি পণ্য কিনছে, তা দেখা সম্ভব হবে।

 

এই বাজার থেকে যেন কেউ বেশি পণ্য কিনে অন্যত্র বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য তিন-চার কেজি করে বিক্রি করা হবে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা শাক-সবজি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কিনে এনে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করব।’