বাতশুইর একমাত্র গোলে আয়াক্সকে হারালো চেলসি

মিচি বাতশুইর শেষ মুহূর্তের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল আয়াক্সকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চেলসি প্রমাণ করেছে তাদের তরুন দলটি ইউরোপীয়ান আসরে যেকোন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এই জয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ওঠার পাশাপাশি নক আউট পর্বের পথও অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলছে ব্লুজরা।
আমাস্টারডামের ইয়োহান ক্রুইফ এরিনাতে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গোল করে বদলী খেলোয়াড় বাতশুই চেলসিকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট উপহার দেন। গতবারের সেমিফাইনালিস্ট আয়াক্সও সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-এইচ’র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। লিলির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে অবশ্য পয়েন্ট হারিয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার সংগ্রহে আছে ৪ পয়েন্ট।
চেলসি কোচ ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘এই অনুভূতি সত্যিই অনেক বড়। আজ আমরা যেভাবে খেলেছি তা মনে রাখার মত। সব সময়ই আমি তাদের কাছ থেকে এটাই আশা করি। এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। তবে এই ম্যাচ থেকে সামনে এগিয়ে যাবার পথ তৈরী হলো।’
ঘরের মাঠে অবশ্য চেলসিকে বেশ পরীক্ষার মধ্যেই ফেলেছিল ডাচ জায়ান্টরা। কুইন্সি প্রোমসের গোল অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এডসন আলভারেজের ডাইভিং হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসে। যদিও গ্রীষ্মে এডেন হ্যাজার্ডকে হারিয়ে অপেক্ষাকৃত তরুনদের নিয়েই দল গড়তে উদ্যোগী হওয়া ল্যাম্পার্ড অন্তত সকলের মধ্যে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস যোগাতে সমর্থ হয়েছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল তরুন চেলসি দলটি। যদিও প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউরোপের অন্যতম সফল এ্যাটাকিং দল আয়াক্সের বিপক্ষে ম্যাচটি যে সহজ হবে না তা অনুমেয় ছিল। পরবর্তী ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে আয়াক্সকে আতিথেয়তা দিবে চেলসি। সেই ম্যাচেই গ্রুপের শীর্ষ দলের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যাবে।
ল্যাম্পার্ড আরো বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সব সময়ই সব দলকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলে। আমি মনে করি আমার দলটি দ্রুতই শিক্ষা নিতে পারছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞরা তাদের যথেষ্ঠ সহযোগিতা করছে। ’
আরেক বদলী খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের লো ক্রসে বাতশুই গোল করে চেলসিকে দারুন এই জয় উপহার দেন। মৌসুমে এটি ছিল আয়াক্সের প্রথম পরাজয়। পুরো ম্যাচেই ডুসান টাডিচ, হাকিম জিয়েচকে নিয়ে সাজানো আয়াক্সের প্রতিভাবান আক্রমনভাগকে খোলস বন্দী করে রেখেছিল চেলসির রক্ষনভাগ। বিপরীতে চেলসির একাডেমি থেকে উঠে আসা ক্যালুম হাডসন-ওডোই, ম্যাসন মাউন্ট ও টামি আব্রাহাম দারুনভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনেও ল্যাম্পার্ড জোড়ালো ভাবেই বলেছিলেন বাম দিকে প্রতিপক্ষের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারেন হাডসন-ওডোই। পুুরো ম্যাচে ১৮ বছর বয়সী এই ইংলিশ উইঙ্গার কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ২৭ মিনিটে মার্কোস আলোনসোর ক্রস থেকে গোলের একটি সুযোগও তিনি হাতছাড়া করেছেন। হাডসন-ওডোইয়ের সাথে বল আদান প্রদান করে পোস্টে একটি জোড়ালো শট নিয়েছিলেন মাউন্ট। কিন্তু গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার দক্ষতায় সে যাত্রা রক্ষা পেয়েছিল আয়াক্স।