নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে। মিয়া সেপ্পো আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তারা এখন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। ‘কিন্তু, তাদের উচিত এখন নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সব এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে সে সব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের নিজ দেশেও কাজ করতে পারে। বৈঠকে তাঁরা কভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা করেন। নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রত্যেক সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী বিজিবি এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।
জলবায়ু প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি তাঁর দল ও সহযোগি সংগঠনগুলোও বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ রোপণ অভিযান পরিচালনা করছে।
মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে তার অবস্থানের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল।
এ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য দায়ী জিয়াউর রহমান : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির জন্য সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।’
প্রধানমন্ত্রী আজ একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় যদি আপনারা লক্ষ্য করেন ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে যে হত্যা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় এবং এর পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যাটাও সৃষ্টি হয় ’৭৬-’৭৭ সালে। আর ’৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হয়। এটাই বাস্তবতা।’ বর্তমান সরকার যেকোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি।’ Read more..