ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে কক্সবাজারে ৪ নম্বর সংকেত চলমান রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরে আজ রাত সাড়ে ৭টার দিকে অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের খুলনা তথা সুন্দরবন উপকূলে ‘বুলবুল’ আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এলাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করলে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমরা ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা উপকূলের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে আটটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও ভোলা।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আন্দামান সাগরে উৎপত্তি হয়েছে। পরে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে রুপ নেয়।
এর আগে আজ শুক্রবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে কোন সময়ে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এসময় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।