
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গায়েবি ভোটের সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে পুরো দেশটাকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। তাদের নির্মমতার মাত্রা সীমা লঙ্ঘন করায়, আজ তাদের এই অবস্থা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নির্মমতায় ওয়াজ মাহফিল এমনকি জানাযায় পর্যন্ত বিএনপি নেতা কর্মীরা উপস্থিত হতে পারেনি বলে জানান গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক একেএম ফজলুল হক মিলন।
রবিবার (২৯ জুন), জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলদী মাঠে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক, স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও চারাগাছ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিজুল ইসলাম দর্জির সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাধারন সস্পাদক আহমদুল কবির নাইমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কালীগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির মাষ্টার, সদস্য সচিব খালেকুজ্জামান বাবলু, সদস্য আশরাফী হাবিবুল্লাহ, ফরিদ আহমেদ মৃধা, কাজী মাহবুব হাসান সবুজ।

অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ইব্রাহিম প্রধান, বিএনপি নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক মাকসুদেল হোসেন খান, থানা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা বেগম, বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মেজবা উদ্দীন, শ্রমিক নেতা নশা মিয়া, বিএনপি নেতা শেখ মঞ্জুর, আবু নাঈম, মোস্তফা বাগমার, প্রবাসী বিএনপি নেতা আকবর সরকার, গাজীপুর জর্জ কোর্টের (এপিপি) সান্নাউল্লা দর্জি, এডভোকেট গাজী সোহেল, যুবনেতা ইয়াসিন মোল্লা, নয়ন ভুঁইয়া, মাসুম মোড়ল, আসাদ, মিনহাজ, ছাত্রনেতা মিতুল, হাবীবুর, মুন্না ছাড়াও এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও বক্তারপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন আরো বলেন, বিএনপির দুর্নাম হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ মিথ্যাবাদীর জায়গা হবে না। বিগত পনের বছর শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে আন্দোলন করেছি। তিনি বলেন, আমাদের নেতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সৎ নেতা। আমরা তাঁর দল করি, এটাই আমাদের গর্ব।

ফজলুল হক মিলন বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিহার্য। দেশের পরিবেশ রক্ষা ও সবুজায়ন দলের ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যে অন্যতম একটি। তাই দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ বিতরণের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।
বিশেষ অতিথি হুমায়ুন কবির মাষ্টার বলেন, জোড়াতালি দিয়ে লাভ হবেনা। জনগণ বুঝে গেছে কোন দল সব সময় তাদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।
থানা বিএনপির সদস্য সচিব খালেকুজ্জামান (বাবলু) বলেন, দলের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা পরীক্ষার সময় এসেছে। কোন অলীক কল্পনিক কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। ইনশাআল্লাহ মিলন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং থাকবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন। এসময় তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন এবং আগামী দিনে বিএনপি প্রার্থী জননেতা একেএম ফজলুল হক মিলনকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়।
মূল অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, ফজলুল হক মিলন উপস্থিত সবার হাতে ফলজ, বনজ ও ওষধি গাছের চারা তুলে দিয়ে বলেন, এ বছর সবাই অন্তত একটি করে হলেও গাছ লাগান এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন।