প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় জাতীয় অগ্রতিতে তরুণদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি সরকারকে আরো যুববান্ধব হতে আহবান জানিয়েছেন।
জয় দেশের তরুণদের অর্জন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার উল্লেখ করে বলেন, আমি আমাদের তরুণদের নিয়ে গর্বিত। তারা একমাত্র সরকারি চাকরির ওপর নিভর্রশীল না হয়ে নিজেরা উদ্যোক্তা হচ্ছে এবং সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছে।
তিনি গতকাল নগরীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর রিসার্স এন্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) উদ্যোগে আয়োজিত ’ইয়ং বাংলা উইথ সজিব ওয়াজেদ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগদানকারী তরুণদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
সন্তানেরা যাতে নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে, এ জন্য তাদের নিজস্ব ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ দিতে তিনি অভিভাবকদের প্রতিও আহবান জানান। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সন্তানদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে দিন। তাদের জন্য আপনার কিছু করার প্রয়োজন নেই। তাদেরকেই নিজেদের নিয়ে ভাবতে দিন।
জয় দুঃখ্য প্রকাশ করে বলেন, ২৫ থেকে ২৬ বছরের অনেক তরুণ আছে, যারা একটি ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়, তাও জানে না। কাজ করতে যেয়ে তারা ভুল করতে পারে, তাদেরকে ভুল করতে দিন, ভুল থেকেই তাদেরকে শিখতে দিন।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয় বাংলাদেশে আইসিটি সেক্টরের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র চাকরির ওপর নির্ভর না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, তোমরা উদ্যোক্তা হও এবং নিজের পায়ে দাঁড়াও। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবে না, এমন কি সরকার অথবা কোন সংস্থা অথবা কোন কোম্পানির ওপরও নয়। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা পিতা-মাতার কথা শুনবে, তবে তার মানে এই নয়, যে তারা যাই বলবেন, তার সবকিছু করতে হবে, এমন নয়।
সেন্টার ফর রিসার্স এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ’ইয়ং বাংলা উইথ সজিব ওয়াজেদ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
দেশের সর্ববৃহৎ যুব নেটওয়ার্ক ইয়ং বাংলা নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় আড়াই শতাধিক তরুন এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার সামনে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার সুযোগ পান।
হাজার হাজার তরুণ এবং যুব সংগঠনকে প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ যোগাতে ইয়ং বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয। তরুণদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে ২০১৪ সালে এই প্ল্যাটফরমটির যাত্রা শুরু হয়। সারাদেশের প্রায় ৫ লাখের অধিক তরুণ এবং তিন শতাধিক তরুন সংগঠন এই প্ল্যাটফরমের সঙ্গে যুক্ত।
জয় বাংলা ইউথ এ্যাওয়ার্ড
এই উদ্যোগের পাশাপাশি ইয়ং বাংলা জয় বাংলা ইউথ এ্যাওয়ার্ড নামে আরো দুটি পৃথক প্রকল্প চালু করেছে। ২০১৫ সালে মোট ৩০ জন ইয়ং বাংলা সদস্য এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ১,৫০০ আবেদনকারির মধ্যে অপর ১৭০জনকে তাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে সনদপত্র দেয়া হয়েছে।
ইয়ং বাংলা এ বছরে দ্বিতীয় দফা এ্যাওয়ার্ড দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। খুব শিগগির ইয়ং বাংলা সদস্যদের কাছ থেতে দরখাস্ত আহবান করা হবে।
ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশীপ
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো অপর একটি প্রকল্পের অধিন ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশীপ কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। এতে তরুণদের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে সরকারি অভিজ্ঞতা অজর্নের সুযোগ সৃষ্টি হলো। ২০১৬ সালের জুনের পর থেকে ইয়ং বাংলা প্রায় সাড়ে তিন হাজার সদস্যের জন্য ইন্টার্নশীপ আয়োজন করেছিল।
জয় বাংলা কনসার্ট
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন স্মরণে ইয়ং বাংলা রাজধানীর আর্মী ষ্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে চারটি জয় বাংলা কনসার্ট-এর আয়োজন করেছে।
নিখুত অর্থনৈতিক বিপ্লবের বীজ রোপিত জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়- এর বক্তৃতায়।
Posted by Mahfuz Hossain on Wednesday, October 23, 2019